ঋতুর তারতম্য
অনুযায়ী চুলেরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এই যেমন, গ্রীষ্মে চুল বেশি শুষ্ক হয়,
বর্ষায় খুব চুল ওঠে আবার শীতকালে খুশকির সমস্যা। নিয়মিত চুলের যত্ন না নিলে চুল
পড়ে গিয়ে তার ঔজ্জ্বল্য হারায়। যার ছাপ পড়ে চেহারার উপর। চুলের বৃদ্ধি ও
সুস্বাস্থেরের প্রয়োজনে চুলের গোড়ায় স্টিমিউলেশন, চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ
করা ও নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা। তাছাড়া এখন এতো দূষণ যে সে কথা মাথায় রেখে
সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়া।
হেয়ার লস
চুলের ঘনত্ব অনুযায়ী প্রতিদিনই আমাদের একটা নর্মাল হেয়ার লস হয়। খেয়াল রাখতে
হবে, মাথার যে জায়গা থেকে চুল পড়ছে সেই জায়গায় আবার নতুন চুল উঠছে কি না। না উঠলে
বুঝতে হবে আপনার চুল ঠিক মতো পুষ্টি পাচ্ছে না। এই পুষ্টির অভাবেই ভবিষ্যতে টাক
পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
রক্ত সংবাহন
মাথার তালুতে যথেষ্ট পরিমাণে রক্ত সংবাহন না হলেও চুলবৃদ্ধির হানি ঘটে। চুলের
গোড়াতে রক্ত চলাচলের জন্য শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথায় হালকা গরম তেল মাসাজ
করুন। খেয়াল রাখবেন চুলে যেন বেশি টান বা ঘষা না লাগে। এরপরে গরম জলে তোয়ালে
ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন মিনিট দশেক। এবার শ্যাম্পু করে নিন। এই পদ্ধতি চুলের গোড়াতে
রক্ত সংবাহন করতে সাহায্য করে। এতে চুল পড়াও অনেক কমে।
শ্যাম্পু করার
পদ্ধতি
আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী (স্বাভাবিক, শুষ্ক, তৈলাক্ত ) দেখে শ্যাম্পু নির্বাচন
করুন। প্রথম পরিষ্কার জল দিয়ে গোটা মাথা ভালো করে ধুয়ে নিন। মগে সামান্য জল নিয়ে
তাতে শ্যাম্পু মিশিয়ে সেই মিশ্রন চুলে ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার সময় বেশি জোরে
মাথা না ঘষে ধীরে ধীরে আঙুলের ডগা দিয়ে ঘষুন, নখ দিয়ে নয়।
কন্ডিশনার
লাগানোর পদ্ধতি
শ্যাম্পু করার পর চুল ভালো করে ধুয়ে নিন। চুলের সামান্য জল ঝড়িয়ে কন্ডিশনার
লাগান। চুলের গোড়ার এক ইঞ্চি উপর থেকে কন্ডিশনার একদম আগা অব্দি লাগান। খেয়াল রাখবেন মাথার তালুতে
যেন কন্ডিশনার না লাগে।
শেষে আধ মগ জলে এক চামচ মধু, দু কাপ চায়ের লিকার ও এক চামচ পাতিলেবুর রস
মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে চুলের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পাবে।
চুল শুকানো
পদ্ধতি
ড্রায়ারের সাহায্যে যতটা সম্ভব কম চুল শুকোবেন। কেননা অতিরিক্ত ড্রায়ারের
ব্যবহারে চুল শুষ্ক ও কর্কশ হয়ে যেতে পারে। ভেজা চুল কখনই আঁচড়াবেন না। চুলের জট
ছাড়াবেন সর্বদা মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে। রোদে চুল শুকোবেন না। এতে চুলের ডগা চিরে
গিয়ে স্বাভাবিক রং জ্বলে যায়।
খুব বেশি হেয়ার স্প্রে, ল্যাকার, হেয়ার মুজ, কিংবা হেয়ার কালার ব্যবহার করবেন
না। কেমিক্যাল ব্যবহারের পরে চুলের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার যাতে চুল নরম মসৃণ
থাকে। মাসে একবার চুলের আগা ট্রিম করুন।
এতে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়।
চুল ভালো রাখতে নিয়মিত ডায়েটে প্রোটিন রাখুন। মাছ, মাংস, ডিম, ফল, সব্জি যতটা
সম্ভব পরিমানে খান। আর দিনে দশ থেকে বারো গ্লাস জল মাস্ট মাস্ট মাস্ট খাওয়া চাই।
চুলের এই ডেইলি রুটিন ফলো করুন তাহলে আর কোন ঋতুর তারতম্যে আপনার চুলের কোন ক্ষতি হবেনা।
আজকের পোস্টটি কেমন লাগলো জানাবেন। আপনাদেরও যদি কোন সাজেশন থাবে তাহলে অবশ্যই
সেয়ার করবেন।
লেখাটি ভাল লাগলে লাইক ও সেয়ার করুন !
take care
0 মন্তব্যসমূহ