নিজেকে সবসময় সুন্দর দেখতে প্রতিদিন অল্প বিস্তর ত্বক চুলের যত্ন নিতে হবে। রইল এমনই কিছু কয়েকটা শর্টকাট ফান্ডাঃ
ত্বকের যত্ন
ত্বক ঝকঝকে ও চকচকে রাখতে সবসময় একে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তাই নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসওয়াশ দিয়ে দিনে দু’ থেকে তিনবার মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
বাইরে বেরনোর অন্তত ২০মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগাবে। প্রতি তিন ঘন্টা অন্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
ভারতীয়দের স্কিন টোনে খুব সহজেই ট্যান ও পিগমেনটেশন চলে আসে, তাই সেই বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে। ট্যানিং ও পিগমেনটেশনের সমস্যা বেশি হলে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
রাতে বাইরে থেকে ফিরে ক্লেনজ়ার দিয়ে আগে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করবেন, এর পর ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নেবে্ন। এর ফলে অতিরিক্ত তেল ও ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
প্রতিদিন নিয়ম করে ক্লেনজ়িং, টোনিং ও ময়শ্চারাইজ়িং করবে। রাতে শোওয়ার আগে যে ময়শ্চারাইজ়ারটা মাখবেন, সেটা অ্যান্টি এজিং হলে ভাল হয়।
চুলের যত্ন
সুন্দর চুলের জন্যও কিন্তু প্রতিদিন নিয়ম করে চুলের যত্ন নিতে হবে।
রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার হাত থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন অয়েল মাসাজ করতে হবে। অয়েল মাসাজের পর একটা তোয়ালে উষ্ণ গরমজলে ভিজিয়ে সেটা দিয়ে পুরো চুল আধঘন্টা থেকে এক ঘন্টা বেঁধে রেখে শ্যাম্পু করে নেবেন। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার লাগিয়ে নেবেন। খেয়াল রাখবে কন্ডিশনার কেবলমাত্র চুলের লেংথেই লাগাবে। স্ক্যাল্পে নয়।
প্রতি সপ্তাহে একবার চুলে হেনা করলে ভাল। হেনার সঙ্গে ঘরে পাতা টক দই, ডিম, মধু, চায়ের লিকার, আমলকি পেস্ট করে মিশিয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
মাসে দু’বার স্পা করলেও চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল হবে।
যাদের মাথায় খুসকি আছে তারা সপ্তাহে দু’বার হেয়ার ভাইটালাইজ়ার ব্যবহার করতে পারেন। খুসকির সমস্যা থাকলে নিজের চিরুনি, বালিশের কভার ইত্যাদি সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। এই সবের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার দিকেও নজর দিকে হবে। দুধ, ডিম, আমন্ড বাদাম যে-কোনও ধরনের বাদাম, যথেষ্ট পরিমাণে মরসুমি ফল ইত্যাদি এবং দিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল খেতে হবে। জল ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
take care
Facebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।