নারীর অহংকার তাঁর অলংকারে। কথাটা কিন্তু একেবারেই মিথ্যা নয়। অঙ্গ সজ্জায় চিরকালই গয়না ছিল নারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। শরীরের নানা অংশে নানা আকৃতির গয়নার প্রচলন আজ থেকে নয়। এই ইতিহাস হয় তো সৃষ্টির শুরু থেকে। নারী দেহে প্রতিটি অলংকার নিজের জায়গা থেকে স্বকীয়। আর এ রকমই একটি স্বকীয় গহনা নূপুর। যা আবার 'মল' নামেও পরিচিত।
এই অপূর্ব সুন্দর গহনাটির প্রচলন শুরু হয় মূলত দখিন-পূর্ব এশিয়ায়, যেখানে এখনও বিবাহিত নারীরা তাদের সুখ ও সমৃদ্ধির চিহ্ন হিসেবে এটি পরে থাকেন। তবে আজকাল অবিবাহিত মেয়েদের কাছেও এই অপূর্ব সুন্দর গহনাটি খুবই জনপ্রিয়। একাল হোক আর সেকাল হোক নূপুর সব সময় জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এসেছে। এখন নূপুরের স্টাইলের মধ্যে এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তাই বলে পুরনো স্টাইল এর নূপুর এরসাথে নতুন স্টাইল এর নূপুরের তুলনা করাটাও ঠিক হবে না। এখনও অনেক নারী সাবেকী নূপুরও
পছন্দ করেন আমার তোমনে হয় একালের নূপুর হক বা সেকালের নূপুর হোক সুন্দরীদের পায়ে দুটোই অসাধারণ লাগবে। তাইতো আজকালের তন্বীরা তো নিজেদের পছন্দ অনুসারে বা পোশাকের অনুসারে এক পায়ে তো কখন দুটো পায়ে নূপুর পরে থাকেন।
রবীন্দ্রনাথের গল্প উপন্যাস থেকে শুরু করে এ যুগের কেপ্রি পড়া আধুনিক মেয়ে সবারই পদযুগল সাজায় নূপুর। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী সবার পায়ে এখন নূপুর সাজে। হাল সময়ে নূপুরের জনপ্রিয়তা একটু বেশিই বেড়ে গেছে। এর কারণ হলো পোশাকে পরিবর্তন। মেয়েদের সালোয়ার, প্যান্ট,জিনস সব কিছুই এখন দৈর্ঘ্যে কিছুটা ছোট। ফলে পদযুগল সহজেই নজরে আসে তাই তো উন্মুক্ত পা সাজাতে একচিলতে নূপুর না হলেই নয়। ফ্যাশনের এই নতুন ধারায় গা ভাসিয়েছেন সবাই।জিনস্টাকেগুটিয়ে উপরে তুলে রাখা,সালোয়ার একটু খাটো করে তৈরি করা,আর থ্রিকোয়ার্টার প্যান্ট পরা এ সব কিছুই এখন ফ্যাশনের অংশ। আর তার সঙ্গে দারুন মানিয়ে যায় নূপুরটিও।
আমি বড়দের কাছে শুনেছি যে বাঙালি ঘরে নব বধূর পায়ে মল বা নূপুর পরানো হতো নব বধূর গতি বিধি জানার জন্য। ছোট ছোট বল লাগানো থাকতো নূপুরের গায়ে যা হাঁটতে গেলে আওয়াজ করতো।সম্প্রতি এ ঝুমকাগুলো বিভিন্ন জিনিস যেমন পুঁতি,মুক্তা কিংবা নানা ধরনের
পাথর দিয়ে তৈরি হতে দেখাযায়। এখন আধুনিক নারীরা এ ধরনের আওয়াজ করা নূপুর খুব কমই পরে।কেউ যদি সখে পরে সে অন্য কথা। বাজারে এখন তো
নানা ধরনের নূপুর দেখা যায়
স্বর্ণের দাম আকাশচুম্বি হওয়াতে সোনার নূপুর এখন অনেকটাই জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। আর সেখানে জায়গা করে নিয়েছে রুপা, ইমেটেশন সহ আরো নানা উপকরণের নূপুর।বর্তমান ইমেটেশনের নূপুরই বেশি জনপ্রিয়। তাছাড়া এখন
কাপড়ের বা সূতা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ফ্যাশনেবল নূপুরের ফ্যাশনে ইন( Anklet
বলে থাকে)। এই ধরনের নূপুর খুব সিম্পলও হয় আবার জমকালোও হয়।
কিন্তু মেটেল দিয়ে তৈরি খুব জমকালো নূপুরের ডিজাইনের প্রচলন এখন আর নেই বললেই চলে এখন নূপুরের স্টাইলটা খুব হালকা ধরনে। সাথে থাকতে পারে পুঁতি, স্টোন, কৃত্রিম মুক্তা আর ইমেটেশনের নানান ইলাস্ট্রেশনপুঁতি আর মিনার কাজ করা নূপুর এমন থাকে যা মানিয়ে যায় যে কোন পোশাকের
সাথে এছাড়া ডিজাইনার নূপুরেরও এখন খুব চল।
এখন তো আমাকে রবিঠাকুরের গানটা না গাইলেই নয়
"নূপুর বেজে যায় রিনিরিনি।
আমার মন কয়, চিনি চিনি॥"...
আপনারা কিন্ত নূপুর পরতে ভুলবেন না। Enjoy করুন ফ্যাশনের এই নতুন নূপুর স্টাইল।
আপনার মতামত আমাদের Facebook পেজেও দিতে পারেন।
এখন তো আমাকে রবিঠাকুরের গানটা না গাইলেই নয়
"নূপুর বেজে যায় রিনিরিনি।
আমার মন কয়, চিনি চিনি॥"...
আপনারা কিন্ত নূপুর পরতে ভুলবেন না। Enjoy করুন ফ্যাশনের এই নতুন নূপুর স্টাইল।
0 মন্তব্যসমূহ