ট্যানহীন ত্বক

আমরা প্রায় প্রতিদিনই কোনও-না-কোনও কাজে বাইরে বেরই, এবং মুখে, হাতে, পায়ে নানা রকম ক্রিমও মাখি। কিন্তু বাইরের এই প্রচন্ড রোদের চোখরাঙানিতে ত্বকের তো অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। মানে ত্বক পুড়ে হয়ে যায় তামাটে। আর এই তামাটে ট্যান পরা ত্বকে কোনও ফ্যাশনই যেন ভাল লাগে না! যেভাবেই সাজি না কেন কিছুই যেন মানায় না। কিন্তু এই ট্যান পরা ত্বকের থেকে মুক্তি পাব কী করে! ট্যান হয়ে যাওয়া ত্বকের সমস্যার সমাধান পেতে রইল কিছু ঘরোয়া টিপ্স।
এক কাপ কাঁচা দুধের সঙ্গে এক চামচ চন্দনগুঁড়ো মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে মুখে, গলায় এবং ট্যান পরা অংশে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। প্যাক শুকিয়ে এলে জল দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন। এই পদ্ধতিটি ত্বকের জন্য খুব ভাল কারণ এটি যেমন ট্যান দূর করে, তেমনই ত্বক উজ্জ্বল করে তুলতেও সাহায্য করে।
কচি ডাবের জল ত্বকের জন্য খুব ভাল এবং ট্যান দূর করতেও সাহায্য করে। এর জন্য প্রতিদিন জল দিয়ে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে টাটকা ডাবের জল পুরো মুখে, গলায় ও হাতের ট্যান পরা অংশে লাগিয়ে নেবেন। কিছুক্ষণ রেখে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নেবেন। এই পদ্ধতিটি প্রতিদিন করলে কিছুদিনের মধ্যেই আবার ত্বকের স্বাভাবিক রং ফিরে আসবে।
Follow Me on Pinterest
এছাড়া কাঁচা দুধ ও হলুদ গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে একটা প্যাক বানাতে পারেন।  ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে এই প্যাক মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। এর ফলে ত্বকের ট্যান চলে যায় এবং ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও মসৃণ।

সামান্য অ্যালোভেরা জেল নিয়ে হাতে ভাল করে ঘষে নিন৷ এতে ত্বক যেমন ভাল থাকবে তেমনই সান ট্যান থেকে রেহাই মিলবে৷ টানা দুই থেকে তিন মাস এটি ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব৷ এছাড়াও এলার্জী, সংক্রমণ বা পোকা কামড়ালেও এই জেল ব্যবহার করে যেতে পারে৷


পাকা পেপে চটকে পেস্ট তৈরি করের ত্বকের উপর মাস্কের মতো করে লাগিয়ে বেশ খানিকক্ষণ রেখে দিন৷ এতে ট্যান যেমন দূর হবে তেমনই আপনার ত্বক অনেক বেশি ফর্সা দেখাবে৷ দুই থেকে তিন মাস নিয়মিত এটি করলে উপকার পাবেন৷


সামান্য গোলাপজলে শশার রস এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন৷ এবার মিশ্রণটিকে দিনে একবার করে ত্বকে লাগান, তফাৎ নিজের চোখেই দেখতে পারেব৷
 take care

Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।