স্বাভাবিক ত্বক
লক্ষণ:
স্বাভাবিক ত্বক কখনই খুব তৈলাক্ত
বা শুষ্ক হয় না। এই ধরনের ত্বকের জেল্লা সব সময়ই একই থাকে।
ময়েশ্চারাইজারের ধরন:
শুষ্ক ত্বক
লক্ষণ:
আপনার ত্বক প্রায়ই ফাটা ফাটা লাগবে, সাধারণভাবে টাইট বা খুব টান ভাব অনুভূত হবে। এই ধরনের ত্বকে মৃত ত্বক অনেক বেশি থাকে।
ময়েশ্চারাইজারের ধরন:
ত্বক মৃত কোষ দূর করার জন্য মাঝে মধ্যে ক্রাব করে নিতে হবে। এর পরে অবশ্যই লাগিয়ে নিতে হবে ময়েশ্চারাইজার। ময়েশ্চারাইজার হবে তেল সমৃদ্ধ। ত্বকের হারিয়ে যাওয়া তেল এই তেল সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজারই ফিরিয়ে আনবে। এছাড়াও শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্রিম বেসড ময়শ্চারাইজার উপযোগী। গ্লিসারিন, ল্যাক্টিড এসিড রয়েছে এই ধরনের ময়শ্চারাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
Read More : শুষ্ক ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ময়েশ্চারাইজার
শুষ্ক ত্বকের যত্ন কি ভাবে নেবেন ?
Read More : শুষ্ক ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ময়েশ্চারাইজার
শুষ্ক ত্বকের যত্ন কি ভাবে নেবেন ?
তৈলাক্ত ত্বক
লক্ষণ:
বড় ছিদ্র এবং মুখ ধুয়ে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ফিরে আসা।
ময়েশ্চারাইজারের ধরন:
তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে অনেকেই সমস্যায় ভোগেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন অয়েল ফ্রি ময়শ্চারাইজার। এই ধরনের ময়শ্চারাইজার ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্যও খুব উপযোগী। অয়েল ফ্রি ময়শ্চারাইজারে ভেজিটেবল অয়েল, অ্যানিম্যাল ফ্যাট ইত্যাদি থাকে না। আলভেরা যুক্ত ময়শ্চারাইজারও ব্যবহার করতে
পারেন।
Read More : তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বাছাই করা ৮ টি সেরা ফাউন্ডেশন
রূপচর্চায় পুদিনা পাতা ( তৈলাক্ত ত্বক)
Read More : তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বাছাই করা ৮ টি সেরা ফাউন্ডেশন
রূপচর্চায় পুদিনা পাতা ( তৈলাক্ত ত্বক)
মিশ্র ত্বক
লক্ষণ:
টি জোন শুধু তৈলাক্ত থাকবে (যেমনকপাল, নাক, চিবুক ) আর গালে চামড়া শুষ্ক।
ময়েশ্চারাইজারের ধরন:
যেহেতু এই ধরনের ত্বক তৈলাক্ত ও শুষ্ক এই দুয়ের মিশ্রনে তৈরি তাই খুব ভালো হয় যদি দুই ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যায়। টি জোনের জন্য ব্যবহার করুন লাইট ময়েশ্চারাইজার আর শুষ্ক অঞ্চলের জন্য ব্যবহার করুন ক্রিম বেস ময়েশ্চারাইজার। নয় তো ব্যবহার করুন লাইট, হাইড্রেটিং ময়শ্চারাইজার। দিনে দু’বার এই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
সেনসেটিভ ত্বক
লক্ষণ:
সংবেদনশীল ত্বকের লক্ষণ প্রায়ই ব্রণ বা ত্বক চুলকানি প্রবণ। কোন কিছুই সহজে সুট করতে চায় না ইত্যাদি।
ময়েশ্চারাইজারের ধরন:
সেনসেটিভ ত্বকের জন্য ভিটামিন-এ সি এবং ই, জিঙ্ক এবং গ্রিন টি যুক্ত ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এই ধরনের ত্বকের জন্য সুগন্ধবিহীন ময়শ্চারাইজারই আদর্শ। সংবেদনশীল ত্বকের হালকা, কেমিক্যাল ফ্রি, ময়েশ্চারাইজার হলে ভালো হয়।
সেনসেটিভ ত্বক যাদের তাদের জন্য একটা কথা বলা যে, নতুন কোন প্রোডাক্ট
কেনার আগে এর একটি ট্রাইয়েল বা ছোট পাউচ প্যাক কিনে ব্যবহার করুন। সুট করলে তো
ভালো না করলেও কোন অসুবিধা নেই কারন এতে খুব বেশি প্রোডাক্ট বা টাকা কোনটাই নষ্ট হবে না। কেমন লাগলো আজকের পোস্ট অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
লেখাটি ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন !
0 মন্তব্যসমূহ