হাতে সময়ের অভাব বলে আমরা রেডিমেট ফেসপ্যাক ব্যবহার করি। রেডিমেট ফেসপ্যাক থেকে তো তাৎক্ষনিক ফল পাওয়াই যায়। তবে আপনার যদি মনে হয়, যে কোন ভালো ব্র্যান্ড এর ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন,তাও অনেক সময় সম্ভব হয় না অতিরিক্ত দামের জন্য। মতটাও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু নো টেনশন। আজ এমন কিছু চটজলদি ফেস প্যাক বলবো যা বাজার চলতি ফেস প্যাক থেকে কম নয়। আপনাকে মিনিটে সুন্দরী করে তুলবে।
উজ্জ্বল রাখতে মধুর জুড়ি নেই। তাই মধু দিয়েও ঝটপট কতগুলো ফেসপ্যাক তৈরি করে নেওয়া যায়। এক চা-চামচ মধুর সঙ্গে এক চা-চামচ গোলাপ মিশিয়ে ভাল করে মুখে ও ঘাড়ে ঘষুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। গোলাপজলের বদলে পাতিলেবুর রস বা দইও ব্যবহার করতে পারেন।
একটা পাকা পেঁপে চটকে মুখে লাগিয়ে নিন, চাইলে মধু মেশাতে পারেন। তারপর মিনিট দশেক পর ধুয়ে ফেলতে পার। বাড়িতে পাকা পেঁপে না থাকলে, আঙুর, স্ট্রবেরি বা অ্যাভোকাডোও একইভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
বাড়িতে গাজর থাকলে, সামান্য পেস্ট করে নিয়ে তার সঙ্গে এক চা-চামচ মধু মিশিয়েও লাগানো যেতে পারে।
সমান পরিমাণ আলু ও লেবু রস মেশান এবং আপনার শরীরের যে অংশ উন্মুক্ত তার উপর প্রয়োগ করুন১৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
দুধ তিন চামচ, লেবুর রস এক চামচ, অল্প হলুদ গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখের ওপর প্রয়োগ করুন এবং শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
দুধের উপর থেকে তার সর তুলে নিয়ে মুখে ঘষুন। দুধের সরই ক্লেনজ়ারের কাজ করে। তারপর ধুয়ে ফেলুন। দুধের সরের সঙ্গে আমন্ড অয়েলও মেশাতে পারেন। তবে তৈলাক্ত ত্বক হলে আমন্ড তেল ব্যবহার করবেন না।
নারকেল মিক্সিতে গ্রাইন্ড করে তার যে সাদা দুধটা বের করে,সেটা মুখে মাখতে পারেন। মিনিট তিনেক পর ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা গাছ যদি বাড়িতে থাকে, তবে সেটা সামান্য কাটলে যে আঠার মতো পদার্থ বেরোয় সেটাকে বলে অ্যালোভেরা জেল। সেই জেল মুখে লাগালেও ফেসপ্যাকের কাজ করে। তবে ত্বক যদি সেনসিটিভ বা স্পর্শকাতর হয়, তবে এই জেল ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে হাতের উপর সামান্য বা কানের পাশে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন।
take care
টিপসগুলি ভালো লাগলে লাইক ও সেয়ার করুন ।