মধু তখনই মধুর যখন এটি খাঁটি হয়। আমি
বাড়িতে প্রায়ই সময় দেখেছি বাজার থেকে মধু এনে ফ্রিজে রাখলে কেমন যেনো দানা দানা
অনেকটা চিনির মতো হয়ে যেতো। ভাবতাম হতো ভালো মধু ঠাণ্ডাতে জমে যায়। কিন্তু পরে
বুঝতে পারি যে, খাঁটি মধু না কি কখনই দানা বাঁধে না। সব সময় তো আর নিজে দাঁড়িয়ে
থেকে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে আনা সম্ভব না। তাই বাজারের মধুর উপর
নির্ভর করতে হয়। আর মধু এতো উপকারি জিনিস যে ঘরে না রাখলেও চলেনা।
তাই আসুন জেনে নিই কিছু সহজ পরীক্ষা যার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে মধুটি কি খাঁটি নাকি নকল।
১। খাঁটি মধুতে কখনো কটু গন্ধ থাকবে না। খাঁটি
মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি ও আকর্ষণীয়। মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, এতে কোনও ঝাঁঝালো ভাব থাকবে না।
২।
বেশ কিছুদিন ঘরে রেখে দিলে মধুতে চিনি জমতেই পারে। কিন্তু যদি বয়াম সহ গরম জলে
কিছুক্ষণ রাখেন, তাহলে
চিনি গলে মধু আবার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। নকল মধুর ক্ষেত্রে এটা হবে না।
৩।
এক টুকরা কাগজের মধ্যে কয়েক
ফোঁটা মধু নিন। যেখানে পিঁপড়া আছে সেই স্থানে
রেখে
দিন। পিঁপড়া যদি মধুর ধারে কাছে না ঘেসে তবে বুঝতে হবে তা খাঁটি মধু। আর পিঁপড়া যদি পছন্দ হয়ে যায় তবে মধুতে নিশ্চয় ভেজাল আছে।
৪। একটি মোমবাতি নিন। মোমবাতির সলতেকে
ভালোভাবে মধুতে ভিজিয়ে নিন। এবার আগুন দিয়ে জ্বালাবার চেষ্টা করুন। যদি জ্বলে ওঠে, তাহলে বুঝবেন যে মধু খাঁটি। আর যদি
না জ্বলে, বুঝবেন
যে মধুতে ভেজাল আছে।
৫।
একটুকরা সাদা কাপড়ের উপর
সামান্য পরিমাণ মধু নিন এবং এবং কিছুক্ষন পর কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার পর
কাপড়টিতে যদি দাগ থাকে তবে বুঝবেন মধুতে ভেজাল আছে। আর যদি দাগ না থাকে তবে মধু খাঁটি।
৬।
একটি ব্লটিং কাগজ নিন, এবং তাতে কয়েক ফোঁটা মধু ফেলুন, যদি
কাগজ মধু শুষে নেয় তাহলে মধুতে ভেজার আছে
আর যদি কাগজের উপর মধু ফোঁটা আকারে রয়ে যায় তাহলে মধুটি খাঁটি।
৭। একটি গ্লাসে জল নিন। তাতে এক চামচ মধু
দিন। যদি মধু জলের সঙ্গে মিশে যায় তাহলে বুঝতে হবে মধুতে ভেজাল আছে। আর যদি মধু এক
জায়গায় জড় হয়ে থাকে তাহলে সেটি খাটি মধু।
এছাড়াও, মধু পরীক্ষা করার অন্য কোন পদ্ধতি আপনাদের জানা থাকলে
অবশ্যই সেয়ার করবেন। আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের কাজে আসবে।