সুন্দর ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন স্ক্রাবার

‘আদর্শ ত্বক’ হবে পরিষ্কার, দাগহীন, সতেজ, টান টান, নমনীয় ও মসৃণ। ভাবছেন এতো কিছু এক সাথে পাওয়া সম্ভব নয়। তাও সম্ভব শুধুমাত্র একটি জিনিসের সাহায্যে। পাওয়া তো সম্ভব। জিনিসটির নাম যে স্ক্রাবার। আজকের পোস্ট এ স্ক্রাবার গুণ বর্ণনা করতেই এই আলোচনা।
স্ক্রাবের কার্যকারিতা
স্কিন এক্সফোলিয়েশনের জন্য সবচেয়ে কার্যকারী জিনিসটি হলো স্ক্রাব। দূষিত, বাতাস, ধূলো ইত্যাদিও ত্বকের বেশ ক্ষতি করে। স্ক্রাব এগুলো থেকে সুরক্ষার জন্য ও দরকার। কি ভাবে স্ক্রাবার কার্যকারি -

১। স্ক্রাবিং ত্বককে ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে বাঁচায়।
২। ত্বক পরিচর্যা বলতে ত্বক পরিষ্কার করা, ঠান্ডা বা ঈষদুষ্ণ জলের সাহায্যে ত্বককে আর্দ্র রাখা ও ত্বক থেকে মরা কোষ ঝেরে ফেলা বুঝায়।
৩। ত্বকের সম্পূর্ণ পরিচর্যা ৩টি পর্যায়ে হয়- > ত্বকের পরিস্কৃতি > ত্বকের পুষ্টি সাধন > ত্বকের সংরক্ষণ। স্ক্রাব ত্বকের জন্য এই ৩টি কাজই সমাধা করে দেয়।
কিভাবে স্ক্রাব করবেন

স্ক্রাবিং করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। পার্লারে গিয়ে স্ক্রাব করে আসতে পারেন। আবার ঘরে বসেও স্ক্রাব করা যায়। ঘরে বসে স্ক্রাব করার পদ্ধতি দেয়া হলো :


১। স্ক্রাব করার আগে ভাল করে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ভিজিয়ে নিন।

২। নিয়মিত স্ক্রাবিংয়ের জন্য নামী কোম্পানির স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। তাতে পেঁপে, অ্যাপ্রিকট, ভিটামিন ই ও সি থাকলে ভাল। এগুলো রোদে পোড়া, দূষণ ও অকালে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
৩। ত্বকের ধরণ বুঝে স্ক্রাব ব্যবহার করুন। ত্বক বুঝে স্ক্রাব না করলে উপকারের বদলে অপকারই হবে।
৪। স্নানের পূর্বে অথবা রাতে মুখে স্ক্রাবিং করুন। মুখে স্ক্রাব দিয়ে ৩/৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। মুখে স্ক্রাব করার সময় খুব আস্তে আস্তে চেপে মুখ ভেজাতে হয়। হাতে না লাগিয়ে তুলোর প্যাড দিয়েও লাগাতে পারেন।
৫। সেনসেটিভ ত্বকের জন্য ওয়ালনাট অথবা অ্যাপ্রিকট জাতীয় স্ক্রাবার ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো তাড়াতাড়ি নতুন কোষের জন্ম দিয়ে ত্বককে মসৃণ করে তোলে। ত্বক নরম করতে এপ্রিকটের জুড়ি নেই।
৬। রোজ হালকা করে স্ক্রাব করার অভ্যাস করুন। সেনসেটিভ ত্বক হলেও ভয়ের কিছু নেই। এটি ত্বকের ক্ষতি করে না।
স্ক্রাবের ধরণ
নানা ধরনের স্ক্রাব হয়ে থাকে। দানাদার, দানাবিহীন, ফেসিয়াল স্ক্রাব, বডি স্ক্রাব, ফ্রুট স্ক্রাব, ভেজিটেবল স্ক্রাব ইত্যাদি।
স্ক্রাবিংয়ে প্রাকৃতিক উপাদান
১। মালবেরী, লেবুর রস, মধু, অ্যাপ্রিকট, রাসবেরী সহযোগে স্ক্রাব করতে পারেন।
২।  চন্দন স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। মুলতানি মাটি, মধু দিয়ে স্ক্রাবিং করতে পারেন।
৩।  চিনি, চন্দনের সাথে মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
৪।  স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ওটমিল। এটি ত্বকের স্বাস্থ্য সবল রাখে।
৫।  জল স্পিরিট, দুধ ইত্যাদি নানারকমের জলীয় পদার্থ দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করা যায়। তবে কোন ধরনের পদার্থ মেশানো হবে তা রূপ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিযে মেশাতে হবে। যদি অ্যালকোহল মেশাতে হয়, তাহলে নির্ধারিত পরিমাণের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। মিশ্রিত বস্তু যেন তরল লেই এর মত হয়।
৬। লবণ দিয়েও স্ক্রাব করা যায় তবে যাদের ত্বক পাতলা তারা লবণ বা লেবুর সাহায্যে স্ক্রাব করবেন না।
৭। সুক্তি, অলিভ তেল সহযোগে মুখে চক্রাকারে ঘষে স্ক্রাব করতে পারেন।
৮। ওটমিলের স্ক্রাব : ৪ চামচ ওটমিল, ১ চামচ গোলাপ জল, আধা কাপ দুধ লাগবে। দুধ ও ওটমিল মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। অল্প ঠান্ডা হলে গোলাপ জল মেশান। সহনীয় পর্যায়ে হলে তুলো দিয়ে লাগিয়ে নিন। ১০/১৫ মিনিট পর প্রথমে ঈষদুষ্ণ জল ও পরে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
মনে রাখবেন
> স্ক্রাব ত্বক পরিষ্কার করে, মুখে গুড়ি গুড়ি দানা হলে স্ক্রাব নিয়মিত মাসাজ করলে দূর হয়।
 >স্ক্রাব করলে আর সাবান ব্যবহার করবেন না।
বাজারের স্কাবার 
বাজারে হরেক রকমের স্ক্রাব পাওয়া যায়। উপাদান ও কোয়ালিটি ভেদে দামও বিভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন : ফ্রুট স্ক্রাব ৩৫০-৪০০ টাকা। ভেজিটেবল স্ক্রাব ৪০০-৫০০ টাকা, আইইউ ৪০০-৪৫০ টাকা, আড়ং এর হারবাল স্ক্রাব ৩৫ টাকা, অ্যাপ্রিকট ১৮০ টাকা, ইয়ং চিন ১৬০ টাকা, শাহনাজ ৬৪০ টাকা, কুসটি ২৬০ টাকা সলিটেয়ার ২০০-৪৫০ টাকা ইত্যাদি। বাজারে মোটামুটি ৫০ টাকা থেকে ৭০০/৮০০ টাকার মধ্যে স্ক্রাবার পেয়ে যাবেন।
                                              take care

Follow Me on PinterestFacebook এর আমাদের সঙ্গে থাকুন।