আমাদের শরীরের জন্য যেমন প্রোটিন দরকারি উপাদান। ঠিক তেমনি চুলের বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এর ভুমিকা রয়েছে। তাই ভেতর থেকে যেমন প্রোটিনের জোগান দিতে হবে তেমনি, বাইরে থেকেও প্রোটিন ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন। বাইরে থেকে চুলকে ঝরঝরে মসৃণ করে তোলার জন্য প্রোটিন যুক্ত তেল ও প্রোটিন প্যাক ব্যবহার করে হবে। কি করে বানাবেন প্রোটিন যুক্ত তেল ও প্রোটিন প্যাক ? চলুন দেখে নেই।
প্রথমেই দেখে নেবো কিভাবে তৈরি করবো প্রোটিন অয়েল, যা যা লাগবে:
প্রথমেই দেখে নেবো কিভাবে তৈরি করবো প্রোটিন অয়েল, যা যা লাগবে:
আমলকি ৫-৬ টি, জবাফুল ৫ টি, মেথি ২ চামচ, ই-ক্যাপসুল ২টি, নারকেল তেল এক ২০০ ml
যেভাবে তৈরি করবেন:
প্রথমে জবা ফুলগুলি ২ দিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। পরে এই ফুলগুলিকে গুঁড়ো করে নিন। এবার একটি পাত্রে নারকেল তেল, আমলকি, মেথি, জবা ফুলের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে ৩০ মিনিট আঁচে রেখে গরম করে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিয়ে একটি কৌটাতে সংরক্ষণ করতে হবে। তবে এর আগে ই-ক্যাপসুলের ভেতরের তরলটি মিশিয়ে নেবেন। ব্যস তৈরী হয়ে গেল প্রোটিন অয়েল প্যাক। তেলটি ব্যবহারের আগে ঝাঁকিয়ে নেবেন।
এবার দেখেনেই প্রোটিন প্যাক কি ভাবে তৈরি করা হয়।
এবার দেখেনেই প্রোটিন প্যাক কি ভাবে তৈরি করা হয়।
যা যা লাগবে:
একটা ডিম, এক কলা, তাজা কারিপাতা এবং ঘৃতকুমারী গাছের পাতা
যেভাবে তৈরি করবেন:
প্রথমত, সব উপকরণ জোগাড় করুন। ভাল করে কারিপাতা ধুয়ে নিন, ঘৃতকুমারীর জেল বের করে নিন, কলা ছোট টুকরা করে কেটে নিন। এবার সমস্ত উপকরণ ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিক্সিতে খুব ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।
*** কলা চুলে লাগালে ছাড়তে চায় না, কিন্তু কলা যদি খুব ভালো করে ব্লেন্ড করা হয়, তাহলে চুল ধোয়ার পরেও কলার আঁশ লেগে থাকে না।
কিভাবে লাগাবেন
হেয়ার প্রোটিন প্যাক লাগানোর আগে, হেয়ার প্রোটিন অয়েলটি খুব ভালো করে মাথার স্কাল্পে ও সমস্ত চুলে লাগিয়ে নিতে হবে। এক ঘণ্টা পরে হেয়ার প্রোটিন প্যাকটি লাগান। ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা এই প্যাকটি লাগিয়ে রাখতে পারেন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশনার লাগানোর কোন প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে এক বার এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। তেলটি আপনি প্রতিদিন বা একদিন অন্তর অন্তর বা আপনার সুবিধা মতো ব্যবহার করুন।
আমরা সবাই চাই সুস্থ্য সুন্দর ঝলমলে, ঘন কালো, লম্বা ও মসৃণ চুল। চুল শক্ত মজবুত ও দ্রুত বৃদ্ধির জন্য দরকার প্রোটিন যুক্ত তেল। আর চুলের সব ধরনের সমস্যা মুক্ত রাখতে ব্যবহার করতে হবে হেয়ার প্রোটিন প্যাকটি। এই তেল ও প্যাকের সব থেকে বড় প্লাস পয়েন্টে হল এতে কোন রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয় নি। আর খুব কম খরচে ঘরে তৈরি করা হয়।
আমি তেলটি সারা বছরের জন্য বানিয়ে রাখি। মাঝে মধ্যে তেলটি রোদে রাখি গরম করার জন্য,এর পরে ব্যবহার করি। আমার দূষণ থেকে চুলের গোঁড়ায় ছোট ছোট দানার মতো ফুসকুড়ি ওঠে। এই তেলটি ব্যবহার করলে দেখেছি খুব তাড়াতাড়ি সেই ফুসকুড়ি চলে যায়।
প্রোটিন প্যাকটি আমি তখনই ব্যবহার করি যখন মনে হয় আমার চুল অনেক বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক।
কেমন লাগলো আজকের টিপস ও রেসেপি অবশ্যই জানাবেন। আপনাদের কোন সাজেশন থাকলে সেটাও সেয়ার করুন। আপনাদের কোন টিপস থাকলে সেয়ার করুন, আমার ও এই পাতার পাঠকদের সঙ্গে।
লেখাটি ভালো লাগলে লাইক ও সেয়ার করুন।