আমাদের ত্বকের যত্নে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল ত্বককে সঠিকভাবে ময়শ্চারাইজ করা। অনেকেই ধারনা যেকোন রকমের ক্রিমের একটি প্রলেপ ত্বকের লাগালেই বোধ আমরা ভালো রেজাল্ট পাবো। তবে আপনি যে ক্রিমটি ব্যবহার করছেন সেই ক্রিমের উপাদানগুলি কি পরীক্ষা করেছেন বা সেই ক্রিমটি কি আপনার ত্বকের ধরণের জন্য উপযুক্ত? ময়শ্চারাইজেশন প্রতিটি ত্বকের জন্য আবশ্যক। হ্যাঁ তৈলাক্ত ত্বকের জন্যও। ময়শ্চারাইজার ত্বকের শুষ্কতা এবং অন্যান্য ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে ত্বকে একটি প্রতিরক্ষামূলক বাধা তৈরিতে সাহায্য করে। একটি ভাল হাইড্রেটেড ময়শ্চারাইজার ত্বকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার করে। আপনার ত্বককে ভেতর এবং বাইরে থেকে উজ্জ্বল রাখার জন্য ময়শ্চারাইজ জরুরি তবে এটা যে সব সময় কিনেই ব্যবহার করতে হবে এমনটি নয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা আপনি ত্বককে ময়শ্চারাইজড রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজ করার কিছু সহজ উপায় এবং উপাদান এখানে উল্লেখ করা হল :
অ্যালোভেরা
এতে কোন সন্দেহ নেই যে এটি একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায়। হ্যাঁ, এমনকি সংবেদনশীল ত্বকেও এটি ব্যবহার করা যায়। যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের জন্যও অ্যালোভেরা একটি দারুন ময়শ্চারাইজারের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। তাদের ত্বকে কোনও ময়শ্চারাইজার লাগাতে ভয় পান তারা নিরাপদে ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরার পাতাটি সতেজ জেলটি বের করে সরাসরি ত্বকে লাগানো যায়। ১০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রাকৃতিক তেল
প্রাকৃতিক তেল শুষ্ক এবং খুব শুষ্ক ত্বকের জন্য সেরা ময়েশ্চারাইজার। প্রাকৃতিক তেল আপনার ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে এবং ত্বককে ময়শ্চারাইজও করে । আপনি আপনার পছন্দের যে কোনও প্রাকৃতিক তেল যেমন বাদাম তেল, নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল, জলপাই তেল এমনকি জোজোবা তেল বেছে নিতে পারেন। প্রাকৃতিক তেল ত্বকে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যায়। তবে সব থেকে সহজ পদ্ধতি হল, তেলটি সামান্য গরম করে কয়েক মিনিটের জন্য আপনার মুখমন্ডল এটি হয়ে ম্যাসাজ করুন। ভিজে কাপড়ের সাহায্যে বাড়তি তেলটুকু তুলে নিন। এটি আপনার ত্বকে দারুণভাবে হাইড্রেট রাখবে । এই প্রাকৃতিক তেল নাইট ক্রিমের পরিবর্র্তে ব্যবহার করতে পারেন।
গ্লিসারিন
প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখার আরেকটি উওম উপায় হল গ্লিসারিনের ব্যবহার। গ্লিসারিন ত্বককে শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টি জোগায়। সমান পরিমাণে গ্লিসারিন এবং গোলাপজল ব্যবহার করে আপনি এই সুপার ময়েশ্চারাইজিং নাইট সলিউশনটি প্রস্তুত করতে পারেন। ঘুমানোর আগে এটি ব্যবহার করুন এবং সকালে মুখ ধুয়ে নিন ঠান্ডা জল দিয়ে । একটা কথা না বললেই নয়, যদিও ময়েশ্চারাইজার হিসেবে গ্লিসারিন সহজলভ্য তবে দীর্ঘদিন একটানা ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, দীর্ঘ সময় ধরে সরাসরি গ্লিসারিন ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় । তাই বিহার করুন প্রয়োজনবোধে।
মধু
ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে, বলিরেখা কমিয়ে ত্বক টানটান করতে ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে মধুর জুড়ি নেই। পাশাপাশি এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টিকর নানান উপাদান। মধুতে আছে এনজাইম যা ত্বক ও লোমকূপের গভীরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে।নিয়মিত ১ টেবিল-চামচ পরিমাণ মধু ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পরে কুসুমগরম জল মুখ ধুয়ে ফেললে ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ।
দুধ
দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী তেমনি রূপের জেল্লা বাড়াতেও এর জুড়ি মেলাভার। ময়শ্চারাইজিং এবং প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে সুন্দর করে তোলার জন্য আমরা দুধ ব্যবহার করতে পারি। আপনি প্রতিদিন কাঁচা দুধে তুলার বল দিয়ে মুখ মুছতে পারেন। এই প্রাকৃতিক ক্লিনজারের পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজার হিসাবেও কাজ করে।
কেমন লাগলো আজকের এই টিপস অবশ্যই জানাবেন এবং মনে কোন প্রশ্ন থাকলে নীচের মন্তব্য বাক্সে অথবা ফেসবুক পেজে আপনার প্রশ্ন করুন। আর যদি আপনার এই ভিডিও পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে নীচের সোশাল মিডিয়া বোতামগুলির মাধ্যমে বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে এটি সেয়ার করে নিন।
0 মন্তব্যসমূহ