গর্ভধারণ একটি অসাধারণ ঘটনা। যেকোনো নারীর জীবনে এটি একটি বিশেষ মুহূর্ত। কিন্তু গর্ভবতী কিনা তা নিশ্চিত করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কারণ, গর্ভধারণের শুরু থেকেই একজন নারীর শরীরে নানা পরিবর্তন আসতে শুরু করে। তাই গর্ভবতী কিনা তা জানার জন্য লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।
গর্ভধারণের লক্ষণ
গর্ভধারণের লক্ষণগুলো সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত, শারীরিক লক্ষণ এবং দ্বিতীয়ত, মানসিক লক্ষণ।
শারীরিক লক্ষণ
- পিরিয়ড মিস হওয়া গর্ভধারণের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। যদি আপনার পিরিয়ড নিয়মিত হয় এবং হঠাৎ করে মিস হয়ে যায়, তাহলে আপনি গর্ভবতী হতে পারেন।
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া গর্ভধারণের প্রথম দিকের একটি সাধারণ লক্ষণ। সাধারণত গর্ভাবস্থার ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেয়।
- স্তনে ব্যথা বা কোমলতা গর্ভধারণের প্রথম দিকের আরেকটি সাধারণ লক্ষণ। স্তন ভারী হয়ে ওঠে এবং ব্যথা হতে পারে।
- প্রস্রাব করার প্রবণতা বৃদ্ধি গর্ভধারণের প্রথম দিকের আরেকটি লক্ষণ। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে প্রস্রাব করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া গর্ভধারণের প্রথম দিকের আরেকটি লক্ষণ। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হতে পারে।
- ক্লান্তি বা অবসাদ গর্ভধারণের প্রথম দিকের আরেকটি লক্ষণ। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ক্লান্তি বা অবসাদ হতে পারে।
- মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা গর্ভধারণের প্রথম দিকের আরেকটি লক্ষণ। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা হতে পারে।
- ত্বকের পরিবর্তন গর্ভধারণের প্রথম দিকের আরেকটি লক্ষণ। ত্বকে ব্রণ, পিগমেন্টেশন বা হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে অন্যান্য পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
মানসিক লক্ষণ
- হঠাৎ আবেগপ্রবণ হওয়া গর্ভধারণের প্রথম দিকের একটি সাধারণ মানসিক লক্ষণ। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হঠাৎ আবেগপ্রবণ হওয়া, রাগ হওয়া, কাঁদতে ইচ্ছা করা ইত্যাদি হতে পারে।
- অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা গর্ভধারণের প্রথম দিকের একটি সাধারণ মানসিক লক্ষণ। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অস্বাভাবিক খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হতে পারে।
- ঘুমের সমস্যা গর্ভধারণের প্রথম দিকের একটি সাধারণ মানসিক লক্ষণ। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
গর্ভধারণ নিশ্চিত করার উপায়
গর্ভধারণের লক্ষণ দেখা দিলে তা নিশ্চিত করার জন্য বাড়িতে বা ডাক্তারের কাছে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করা যেতে পারে। বাড়িতে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার কিট পাওয়া যায়। এই কিট ব্যবহার করে সহজেই ঘরে বসেই প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করা যায়। তবে, নির্ভরযোগ্য ফলাফলের জন্য ডাক্তারের কাছে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করা ভালো।
গর্ভধারণের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী কিনা। তবে, নির্ভরযোগ্য ফলাফলের জন্য ডাক্তারের কাছে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করা ভালো।
0 মন্তব্যসমূহ