মৌলিক কিছু পরিচর্যা আছে, যা প্রতিদিনই মেয়েদের এমন কি ছেলেদেরও করা উচিত। রোজ রাতে একটু নিজের পরিচর্যা করে ঘুমালে জীবনভর সুস্থ-সুন্দর থাকা খুবই স্বাভাবিক। আর সকালে উঠে নিজেকেও দেখতে খুব ফ্রেশ ফ্রেশও লাগে। ত্বক তো ভালো থাকবেই সঙ্গে সঙ্গে মনও। তাহলে একবার দেখ নেই ঘুমোতে যাবার আগে কি করা উচিৎ।
প্রথমে আসি ত্বকের যত্নে
মুখ ধুয়ে নিন আপনার ত্বকের সঙ্গে খাপ খায় এমন কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে। স্পর্শকাতর ত্বক হলে ব্যবহার করতে পারেন ভেষজ ফেসওয়াশ। যাদের শুষ্ক ত্বক তাঁরা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, নয়তো স্রেফ ২-৩ ফোঁটা যেকোনো বেবি অয়েল মেখে নিন। অলিভ তেল হলে তো খুবই ভালো হয়। আর যাদের তৈলাক্ত ত্বক ? তাদের কোন কিছু ব্যবহার না করাই উচিত।
মাঝেসাঝে রাতে ফেসপ্যাকও লাগাতে পারেন। এই যেমন যাদের শুষ্ক ত্বক তাঁরা ১ চা চামচ দুধের সরের সঙ্গে লেবুর রস ও একটু বেসন মিশিয়ে লাগাতে পারেন। আর যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাঁরা শুধু অ্যালভেরা জেল লাগাতে পারেন। বা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং ওটমিল মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানান। লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। ত্বক তৈলাক্ত আবার ব্রণের সমস্যা আছে তাহলে সিম্পল, গোলাপ জল দিয়ে চন্দন বেঁটে মুখে লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন।
এবার আসি চোখের যত্নে
চোখে খুব ভালো করে জলের ঝাপ্টা দিয়ে নিন। তারপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চোখ মুছে নিন। চোখের ডার্ক সার্কেল কমাতে ঘুমানোর আগে কুরানো শসা বা আলু ঠান্ডা হলে ভালো বা ঠান্ডা টি-ব্যাগ চোখের ওপর দিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। তাছার বাজারে অনেক ধরনের আন্ডার আই ক্রিম পাওয়া যায়। চাইলে টাও ব্যবহার করতে পারেন।
হাত ও পায়ের যত্ন
সারা দিনের দখল কিন্তু হাত ও পায়ের উপর দিয়েই যায়। তাই রাতে হাত ও পায়ের প্রতি একটু বেশি নজর দিলেই ভালো। অবশ্যই রাতে বিছানাতে যাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ও পা ধুয়ে নিয়ে হবে। তারপর লাগিয়ে নিন লোশন বা অলিভ তেল। এছাড়া চেষ্টা করুন যেন সপ্তাহে অন্তন একবার পেডিকিওর ও মেনিকিওর করা যায়। নয় তো একটি সহজ পদ্ধতি বলে দিচ্ছি। আধা বলতি কুসুম গরম জলে ১ চামচ অলিভ অয়েল, সামান্য একটু নুন, এক চামচ কোন ভালো শ্যাম্পু, মিশিয়ে সেই জলে পা ডুবিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট রাখার পর ঠাণ্ডা জলে পা ধুয়ে নিন। তবে তার আগে সামান্য নুন নিয়ে পায়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। পা ধুয়ে লোশন লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। ঠিক এই কাজটি হাতের জন্যও করুন।
চুলের যত্ন
চুল যাঁদের বড় , তাঁরা বেণী করে নিন ঘুমানোর আগে। তাতে চুল ঘষা খাবে না। ছোট চুল হলে খোলা রেখে শুলেও অসুবিধা নেই। পরের দিন শ্যাম্পু করার প্ল্যান থাকলে তেল ম্যাসাজ করে শুতে পারেন। তবে ত্বক তৈলাক্ত হলে এই ভুলটি কখন করবেন না। বালিশের ডাকাটি যেন নরম থাকে সে দিকে খেয়াল রাখবেন।
ঠোঁটের যত্ন
মাঝে মাঝে লেবুর রস ও মধু দিয়ে স্ক্রাব করে নিতে পারেন। অথবা মধু অলিভ তেল এবং চিনি দিয়েও স্ক্রাব করতে পারেন। তাছাড়া প্রতি রাতে ভ্যাসলিন বা মধু লাগিয়ে শুয়ে পরুন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
রাতে ঘুমোতে যাবার ২ ঘণ্টা আগে ডিনার সেরে নিন। রাতে যতটা সম্ভব কম খাবার খান। আর ঘুমানোর আগে একগ্লাস জল খেয়ে নিন।