ত্বকের যত্নে নানা রকম ভেষজ
উপাদানের ব্যবহার বহু প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে । যদিও এখন বাজারে নানা রকম
রাসায়নিক দ্রব্যাদির দ্রুত পাওয়া যাচ্ছে, তবুও সমগ্র বিশ্বে আজও কিন্তু হার্বাল বা
ভেষজ উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করার চল আছে। আজকের নারীরা যতই ব্যস্ত থাকুক না কেন
তাদের কাছে ভেষজ উপাদান দিয়ে রূপচর্চা এখনও জনপ্রিয়।
টুকিটাকি ভেষজ উপাদান দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করতে হয় তো অনেকেরই
জানা। কিন্তু পরিষ্কার,সুস্থ
ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অতি আবশ্যিক কিছু স্টেপ অনুসরণ যে করতে হয় সেটাতে অনেকেই
গুলিয়ে ফেলেন। কোন স্টেপের পরে কোনটা করতে হবে তা নিয়ে মনে সন্দেহও আসে। আজ আমি আপনাদেরকে বলবো ত্বক
চর্চার সঠিক স্টেপ কি আর কি ভাবে ভেষজ উপাদান ব্যবহার করবেন প্রতিটি স্টেপে।
স্টেপ ১ ক্লিনজিং
প্রথমেই আসে ক্লিনজিং। স্বাভাবিক
ভাবেই আমাদের মনে প্রশ্ন আসে যে আমরা কেন ক্লিনজিং করি? এর
সিম্পল উত্তর ত্বক পরিষ্কার করার জন্য।
আরও পড়ুন - ঘর তৈরি ক্লিনজার
আরও পড়ুন - ঘর তৈরি ক্লিনজার
শুধু তৈলাক্ত ত্বক কিংবা রুক্ষ ত্বকই নয়, সব ধরনের ত্বকের জন্যেই ক্লিনজিং মানানসই এবং উপকারী।
ক্লিনজিং পদ্ধতিতে আপনি নানা natural-skin-careউপায়ে
ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। যেমন
ছোলার ডালের গুঁড়ার সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। অনেকের ত্বকই
এমন হয়ে যায় যে, মনে হয় রোদে পুড়ে গেছে।
রোদেপোড়াভাব দূর করতে হলে ব্যবহার করতে পারেন টকদই এবং গোলাপজল। গোলাপজলে টকদই
ছেঁকে মিশিয়ে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। আমলকির পেস্টও সব ধরনের
ত্বকের জন্যে ক্লিনজিংয়ের কাজ করে। মুলতানি মাটির গুঁড়া এবং গোলাপজল একসঙ্গে
ডিপ-ক্লিনজিংয়ের কাজ করে। এটা শুকানো পর্যন্ত রেখে কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে
ফেলবেন। শুকানো পর্যনত রাখতে হবে এই জন্যে, যেহেতু শুকানোর আগে
ধুয়ে ফেললে ভেতর থেকে ময়লা পরিষ্কার হয় না। তৈলাক্ত ত্বকে শসার রসও মেশানো যেতে
পারে। এতে ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক হবে আরো কোমল এবং সুন্দর।
স্টেপ ২ স্ক্রাব
স্ক্রাব সবচেয়ে, যে প্রয়োজনীয় কাজটি করে থাকে তা হলো, এটি ত্বক থেকে মৃতকোষ দূর করে। স্ক্রাব কিভাবে তৈরি করবেন? ঠিক আছে, জানিয়ে দিচ্ছি। চালের গুঁড়া, শসা অথবা গাজরের রস ও টকদই তৈলাক্ত এবং মিশ্র ত্বকের জন্যে স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে, টকদইয়ের ক্ষেত্রে দুধ ব্যবহার করবেন। এছাড়া মুলতানি মাটি ও শসা বা গাজরের রসের মিশ্রণও ভালো স্ক্রাবের কাজ করে। লেবু ও চিনি এক সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাবার তৈরি করা যেতে পারে। স্ক্রাব করতে হবে সাত থেকে দশ দিন পর পর।
স্ক্রাব সবচেয়ে, যে প্রয়োজনীয় কাজটি করে থাকে তা হলো, এটি ত্বক থেকে মৃতকোষ দূর করে। স্ক্রাব কিভাবে তৈরি করবেন? ঠিক আছে, জানিয়ে দিচ্ছি। চালের গুঁড়া, শসা অথবা গাজরের রস ও টকদই তৈলাক্ত এবং মিশ্র ত্বকের জন্যে স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে, টকদইয়ের ক্ষেত্রে দুধ ব্যবহার করবেন। এছাড়া মুলতানি মাটি ও শসা বা গাজরের রসের মিশ্রণও ভালো স্ক্রাবের কাজ করে। লেবু ও চিনি এক সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাবার তৈরি করা যেতে পারে। স্ক্রাব করতে হবে সাত থেকে দশ দিন পর পর।
আরও পড়ুন - কী ভাবে তৈরি করবেন ঘরোয়া স্ক্রাবার
দাগহীন উজ্জ্বল ত্বকের : ঘরে তৈরি বেদানার স্ক্রাবার
স্টেপ ৩ টোনার
অনেকের ত্বকই অতি মাত্রায়
তৈলাক্ত। ত্বকের এই তৈলাক্তভাব দূর করতে হলে, যে পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা
জরুরি, সেটি হলো টোনার। টোনার ত্বকের তৈলাক্তভাব ততটা কমিয়ে
আনতে সহায়তা করে, যতটা ত্বকের জন্যে
দরকারি। তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে তেঁতুলের জুস, মধু ও সমপরিমাণ জল মিশিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কমলার রস এবং দুধ
মেশালেও ভালো টোনারের কাজ করে। আর এটি শুধু তৈলাক্ত ত্বকের জন্যেই না, মিশ্র-ত্বকের জন্যেও কাজ করে। শসার রসকেও টোনার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।তবে এ ক্ষেত্রে একটি বিশেষ
সতর্কতা হলো, টোনার বেশি সময় ধরে ত্বকে রাখা যাবে না। তাহলে ত্বকের
ক্ষতি হবে। এমনও হতে পারে, ত্বক অতি মাত্রায় রুক্ষ
হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন - ক্লান্ত ত্বকের জন্য টনিক
স্টেপ ৪ ময়েশ্চারাইজার
উপরোক্ত শব্দগুলো সবার কাছে পরিচিত না হলেও ময়েশ্চারাইজার শব্দটি সবার কাছেই পরিচিত। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ত্বকে মসৃণভাব আনতে ময়েশ্চারাইজারের কোনো বিকল্প নেই। গিস্নসারিন, জনসন ওয়েল বা নারকেল তেল অথবা অলিভ ওয়েলের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ময়েশ্চারাইজ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তৈলাক্ত ত্বকে আর তেল ব্যবহার করা উচিত নয়। তেলের পরিবর্তে লেবু ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।এই প্যাকটি সব রকমের স্কিন টাইপের কথা মাথায় রাখেই তৈরি। আভাকাডো, জলপাই তেল, লেবু ও মধুর এই প্যাকটি ত্বকের জন্য সত্যিই লাভদায়ী।
স্টেপ ৪ ময়েশ্চারাইজার
উপরোক্ত শব্দগুলো সবার কাছে পরিচিত না হলেও ময়েশ্চারাইজার শব্দটি সবার কাছেই পরিচিত। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ত্বকে মসৃণভাব আনতে ময়েশ্চারাইজারের কোনো বিকল্প নেই। গিস্নসারিন, জনসন ওয়েল বা নারকেল তেল অথবা অলিভ ওয়েলের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ময়েশ্চারাইজ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তৈলাক্ত ত্বকে আর তেল ব্যবহার করা উচিত নয়। তেলের পরিবর্তে লেবু ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।এই প্যাকটি সব রকমের স্কিন টাইপের কথা মাথায় রাখেই তৈরি। আভাকাডো, জলপাই তেল, লেবু ও মধুর এই প্যাকটি ত্বকের জন্য সত্যিই লাভদায়ী।