সুন্দর ত্বকের একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে সকলের কাছেই। তাই নিয়মিত এর যত্নেরও প্রয়োজন রয়েছে। এই ত্বক চর্চায় এসট্রিনজেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান। মুখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে, মুখে লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে এবং মুখের ময়লা পরিষ্কার করতে এসট্রিনজেন্টের তুলনাই হয় না। শুধু তাই নয় এটি ত্বকের পোড়া ভাব কমিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। আজকের পোস্টে আমি ঘরে কি করে এসট্রিনজেন্ট তৈরি করা যায় সেটাই সেয়ার করছি।
কি কি লাগবে –
>ছোট আধা বাটি বেদানার রস
>স্প্রিরিট
>গোলাপ জল
কি ভাবে তৈরি করবেন –
প্রথমেই একটা ফ্রেস
বেদানার নিন। গোটা বেদানার দরকার নেই। ছোট আধা বাটি বেদানার রস বের করতে গেলে
অর্ধেক থেকেও কম বেদানার অংশ দরকার পরবে। এসট্রিনজেন্ট কতটা পরিমাণের বানাবেন তা
বুঝে আপনি আন্দাজ মতো বেদানা নিতে পারেন। ছোট আধা বাটি পরিমাণে বানালে প্রায় ৪
থেকে ৫ দিন চলে যায়। যাই হোক, এবার এতে ১ চামচ স্প্রিরিট ও ১ চামচ গোলাপ জল মেশান।
এই মিশ্রনটি ভালো করে নাড়িয়ে নিন। কিছুক্ষণ রেখে উপরের তরল অংশটি একটি বোতলে ভরে
ফ্রিজে রেখে দিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেলো আপনার এক্সট্রিনজেন্ট । ৪ থেকে ৫ দিন আরামসে
ব্যবহার করুন।
এখানে
একটি কথা বলার আছে, আমি এক্সট্রিনজেন্টে যে স্প্রিরিট
ব্যবহার করেছি সেটি সার্জারিতে ব্যবহার করা হয়। আমি একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েই
এই স্প্রিরিটটি ব্যবহার করছি । তাছাড়া ব্যবহারের আগে আমি বেশ কয়েকবার ত্বকে প্রয়োগ
করেও দেখেছি যে এটি আমার ত্বকে বেশ সুট করেছে। তাই যারা এই এসট্রিনজেন্টটি
বাড়িতে তৈরি করতে চাইছেন, তাঁরা একবার
অবশ্যই একবার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। আর ত্বকেও প্রয়োগ করে দেখে নেবেন।
বেশ কিছু দিন আগে
আমি ক্লান্ত ত্বকের টনিক কি করে বানাতে হয় সেটা দেখিয়ে ছিলাম। সেই টনিকটি ছিল
তরমুজ দিয়ে। এসট্রিনজেন্টও আপনি সেই পদ্ধতিতে বানাতে পারেন। তখন আর স্প্রিরিট
ব্যবহার না করলে চলবে।
ব্যবহার করার পদ্ধতি
-
ব্যবহার করা খুব
সিম্পল। এসট্রিনজেন্ট ফ্রিজ থেকে বের করে তুলোর মধ্যে নিয়ে মুখে গলায় লাগিয়ে
নিন। ২০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপরে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
এই এসট্রিনজেন্টটি সব ধরনের ত্বকের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুব উপকারি। যাদের ত্বক খুব তৈলাক্ত তাঁরা এই এসট্রিনজেন্টটি দিনে দু'বার আর অন্য ত্বকে দিনে এক বার ব্যবহার করুন।
কেমন লাগলো ব্যবহার করে আমার এই নতুন experiment অবশ্যই জানাবেন। আর এই সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই করুন। নীচের ফেসবুক কমেন্ট বক্সে বা disqus কমেন্ট বক্সে আপনি আপনার মতামত বা কোন প্রশ্ন পোস্ট করতে পারেন।
take care
Facebook এর সঙ্গে থাকুন।