আমদের প্রত্যেকের মনে একটা সুপ্ত ইচ্ছা, সুন্দর, দীপ্ত, দাগহীন উজ্জ্বল ত্বক। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই ধরনের ত্বক পাওয়া একটা অলীক কল্পনার মতো। এক কারন একটা না অনেক। পরিবেশ দূষণ, অস্বাস্থ্যকর খাবার, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্ট নিয়ে ত্বকের উপরে পরীক্ষানিরীক্ষা করা, এবং আমাদের লাইফ স্টাইল। এই সব কিছুর প্রভার আমাদের ত্বকের উপরে পরে পাশাপাশি চুলকেও নষ্ট করে।
আমরা আমাদের ব্যস্ত জীবন
যাত্রা জন্য ত্বক বা চুলের যত্নের জন্য খুব বেশি মাত্রায় cosmetic products এর উপরে নির্ভরশীল।
কেনই বা হব না। কোন ঝামেলা নেই। খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। ফলও মেলে তাড়াড়াতাড়ি।
তাই অন্য কোন চিন্তা না করেই বেছেনেই সেই সব পণ্য। কিন্তু ব্যবহারের আগে কি আমাদের
একবারও মনে আসে না, যে এই সব পণ্যতে যে অতি মাত্রায় রাসায়নিক উপাদান
রয়েছে ? যা খনিকের জন্য হয় তো চুল, ত্বকের উপরে ভালো প্রভাব ফেলে কিন্তু অন্য দিনে
যে ধীরে ধীরে ত্বক ও চুলেকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। cosmetic products একেবারে ছেড়ে
দেওয়া সম্ভব নয়। এখন এই সব প্রডাক্ট ব্যবহার করা আমাদের অভ্যাসে পরিণত। অভ্যাস তো
আর এক দিনে বদলানো যায় না। তাহলে উপায়। আমি একটা কথাই বলবো, যতটা পারা যায় এই cosmetic products কম ব্যবহার
করা। আর সেই স্থানে ভেষজ উপাদানগুলিকে নিজের ডেইলি রূপচর্চায় সামিল করা। প্রাকৃতিক উপাদান হয়তো তাৎক্ষণিক আপনার ত্বক বা চুলে কোন প্রভাব ফেলতে নাও
পারে। তবে সুদূর ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক উপাদান তার প্রভাব ফেলবেই।
চুল ও ত্বকের জন্য যে প্রাকৃতিক
উপাদানটি আমার সব থেকে প্রিয় তা হল মধু।
এটি সহজ লভ্য। সবারই ঘরে মধু থাকে। আপনার রূপচর্চার অঙ্গ হিসাবে মধু নির্বাচন
করতে পারেন। তবে মধু ব্যবহারের আগে দেখে নিতে ভুলবেন না যেন, মধু খাঁটি না নকল।
সৌন্দর্যে মধুর উপকারিতা :
১। মধু একটি প্রাকৃতিক
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সূর্যের ক্ষতিকারি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
২। মধু মধ্যে একটি আদর্শ
ময়শ্চারাইজিং এবং ক্লিনিং করার গুন রয়েছে।
৩। মধু খুঁত বা দাগ দূর করতে
সাহায্য করে।
৪। ত্বকের
আদ্রতা ধরে রাখতে, বলিরেখা কমিয়ে ত্বক টানটান করতে ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত
থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে মধুর জুড়ি নেই।
৫। ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে মধু।
রূপ চর্চায় মধুর ৮ টি আসাধারন ব্যবহার
ত্বকের নমনীয়তায়
মধু এক ধরনের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি বাতাস থেকে জলীয়কণা ত্বকের ভিতরে টেনে নেয় যা ত্বকের গভীরে নমনীয়তা ধরে রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘসময় ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতে মধু দারুণ উপকারী।
নিয়মিত ১ টেবিল-চামচ পরিমাণ মধু পরিষ্কার ও শুষ্ক ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পরে কুসুমগরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ।
লোমকূপে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে
৫। ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে মধু।
রূপ চর্চায় মধুর ৮ টি আসাধারন ব্যবহার
ত্বকের নমনীয়তায়
মধু এক ধরনের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি বাতাস থেকে জলীয়কণা ত্বকের ভিতরে টেনে নেয় যা ত্বকের গভীরে নমনীয়তা ধরে রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘসময় ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতে মধু দারুণ উপকারী।
নিয়মিত ১ টেবিল-চামচ পরিমাণ মধু পরিষ্কার ও শুষ্ক ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পরে কুসুমগরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ।
লোমকূপে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে
মধুতে আছে এনজাইম যা ত্বক ও লোমকূপের গভীরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। এছাড়াও মধুতে বিদ্যমান অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ত্বককে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
২
টেবিল-চামচ অলিভ তেল বা
নারকেল তেলের সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে চোখের চারপাশের ত্বক
বাদ দিয়ে মিশ্রণটি পরিষ্কার ও শুষ্ক ত্বকে হালকাভাবে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাসাজ করতে হবে। তারপর কুসুম গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
কোমলভাবে ত্বক পরিষ্কার
মধুর
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ। যা ত্বক করে
পরিষ্কার, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মসৃণ। ১টেবিল-চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে ২টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। হালকা মাসাজ করে করে প্যাকটি জল দিয়ে তুলে নিন ২০ মিনিট
পরে। এক্ষেত্রে বেকিং সোডাও ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করতে
সাহায্য করে। এটি ত্বকের মৃতকোষ তুলে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে।
ত্বকের কালো দাগ দূর করতে
বিভিন্ন
কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে যা ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে। মধু দাগ উঠিয়ে ত্বক করে
উজ্জ্বল। এর ভেতরে থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান
ত্বকের কালো দাগ কমাতে এবং টিস্যু পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
১
টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ মধুর সঙ্গে ১ চামচ লেবু রস। ১ টেবিল-চামচ নারকেল বা জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নিতে হবে। ত্বকের
যেখানে দাগ বা ক্ষত চিহ্ন আছে সেখানে মিশ্রণটি লাগিয়ে ১-২ মিনিট হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে
মাসাজ করতে হবে। তারপর
ত্বকে গরম তোয়ালে চেপে ধরে রাখতে হবে ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত। দৈনিক ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
ব্রণ দূর করতে
কিশোরী
থেকে শুরু করে মোটামুটি সব বয়সের মানুষের জন্য ব্রণ একটি চিন্তার কারণ। মধুর
অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের লালচেভাব ও জ্বালাপোড়া
কমিয়ে ত্বক ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করবে। আক্রান্ত স্থানে মধু লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট
পর হালকা গরম জলে দিয়ে ধুয়ে
ফেলতে হবে। এছাড়াও
প্যাক ১: মধু লেবুর মিশ্রন
মধু ও লেবুর মিশ্রন ব্রণ তাড়ানোর একটি খুব ভালো প্যাক। এই মিশ্রন ২০ মিনিট ব্রণের উপরে লাগিয়ে ধুয়ে নিন।
প্যাক ২: চন্দন গুঁড়া সঙ্গে মধু ও লেবু
মধু, লেবুর রস এবং চন্দন গুঁড়া দিয়ে মুখ প্যাক তৈরী করুন। অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
প্যাক ১: মধু লেবুর মিশ্রন
মধু ও লেবুর মিশ্রন ব্রণ তাড়ানোর একটি খুব ভালো প্যাক। এই মিশ্রন ২০ মিনিট ব্রণের উপরে লাগিয়ে ধুয়ে নিন।
প্যাক ২: চন্দন গুঁড়া সঙ্গে মধু ও লেবু
মধু, লেবুর রস এবং চন্দন গুঁড়া দিয়ে মুখ প্যাক তৈরী করুন। অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
চুলের কন্ডিশনার
মধুতে থাকা এনজাইম অনুজ্জ্বল চুলকে উজ্জ্বল করে। মধুকে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন।
১ টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ মধুর সঙ্গে ২ টেবিল-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে রুক্ষ চুলে ভালোমতো লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে তারপর ভালোভাবে মাথা পরিষ্কার করে ফেলুন।
চুল রং করতে মধু
চুল হাইলাইট বর্তমান ফ্যাশনে দারুণ জনপ্রিয়। তবে রাসায়নিক রং চুলের ক্ষতি করতে পারে এই ভয়ে অনেকেই চুলে রং এড়িয়ে চলেন। তবে মধুর বিশেষ কিছু উপাদান আছে যা ধীরে ধীরে চুলের রং হালকা করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ প্রাকৃতিকভাবে চুল হাইলাইটস করার জন্য দারুণ কার্যকর মধু।
৩ টেবিল-চামচ মধুর সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ জল মিশিয়ে তা পরিষ্কার চুলে ১ ঘণ্টার জন্য লাগিয়ে রাখুন। পরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
মধুতে থাকা এনজাইম অনুজ্জ্বল চুলকে উজ্জ্বল করে। মধুকে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন।
১ টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ মধুর সঙ্গে ২ টেবিল-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে রুক্ষ চুলে ভালোমতো লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে তারপর ভালোভাবে মাথা পরিষ্কার করে ফেলুন।
চুল রং করতে মধু
চুল হাইলাইট বর্তমান ফ্যাশনে দারুণ জনপ্রিয়। তবে রাসায়নিক রং চুলের ক্ষতি করতে পারে এই ভয়ে অনেকেই চুলে রং এড়িয়ে চলেন। তবে মধুর বিশেষ কিছু উপাদান আছে যা ধীরে ধীরে চুলের রং হালকা করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ প্রাকৃতিকভাবে চুল হাইলাইটস করার জন্য দারুণ কার্যকর মধু।
৩ টেবিল-চামচ মধুর সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ জল মিশিয়ে তা পরিষ্কার চুলে ১ ঘণ্টার জন্য লাগিয়ে রাখুন। পরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
Read more : চুলের যত্নে মধু
রোদে পোড়া ভাব কমাতে
মধু ত্বকের গভীরে আদ্রতা ধরে রাখে। মধু এবং অ্যালোভেরা দুটোতেই আছে শক্তিশালি অ্যান্টিইনফ্ল্যামটরি যা ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমায়। মধুর সঙ্গে অ্যালোভেরা ভাল ভাবে মিশিয়ে রোদে পুড়ে যাওয়া স্থানে কিছুক্ষণ লাগিয়ে পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে রোদে পোড়াভাব কমে আসবে।
মধু ত্বকের গভীরে আদ্রতা ধরে রাখে। মধু এবং অ্যালোভেরা দুটোতেই আছে শক্তিশালি অ্যান্টিইনফ্ল্যামটরি যা ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমায়। মধুর সঙ্গে অ্যালোভেরা ভাল ভাবে মিশিয়ে রোদে পুড়ে যাওয়া স্থানে কিছুক্ষণ লাগিয়ে পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে রোদে পোড়াভাব কমে আসবে।